ক্রীড়া প্রতিবেদক
একের পর এক ভূলের খেসারত দিল বাংলাদেশ দল। এর ফলে হংকংয়ের বিপক্ষে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে। প্রথমে গোল করে এগিয়ে যাওয়া। এরপর তিন গোল হজম করে অনেক পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। অল্প সময়ের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচে আবার সমতা। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার আগে আবার গোল হজম। ৪-৩ গোলের পরাজয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল।
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকং-এর বিপক্ষে শুরুতে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। দারুণ এক ফ্রি কিকে গোল করেন প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। ৪৯ মিনিটে কর্ণার থেকে নেওয়া শটে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। গোল পোস্ট ছাড়িয়ে গোল লাইন বরাবর থাকা বল বিপদমুক্ত না করে হেড করে ভেতরে পাঠান ফাহিম। একাধিক মাথা ঘুরে ফাঁকায় পেয়ে হংকং বল জালিয়ে পাঠিয়ে ব্যবধান ১-১ করে প্রথমার্ধ শেষ করে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ২-১ গোলের লিড তুলে নেয় হংকং। ম্যাচের ৫০ মিনিটে রাফায়েল মার্কেইস গোল করেন। শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক করেন তিনি। মার্কেইস বলতে গেলে সব কটি গোল উপহারই পেয়েছেন। ৭৫ মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন তিনি।
শুরুর একাদশে না থাকা জামাল ভূঁইয়া ও কানাডা প্রবাসী শমিত সোম দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ঢুকে ম্যাচে প্রাণ ফেরান। ৮৪ মিনিটে এক গোল শোধ করেন মোরসালিন। গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসের জোয়ার তোলা গোলটি আসে কর্ণার থেকে নেওয়া শটে শমিত সোমের হেডে। তিনি দারুণ দক্ষতায় ম্যাচের ৯৯ মিনিটে অর্থাৎ যোগ করা সময়ের নয় মিনিটি বল জালে পাঠান। ৩-৩ গোলে জয়ের সমান সমতায় ম্যাচ তখন শেষের অপেক্ষা।
এক মিনিট বাকি থাকা ম্যাচে গোলরক্ষক মিতুল মার্মার ভুলে হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। হংকং সেন্টার করার পরই বল বাংলাদেশের অর্ধে পাঠায়। পায়ে বল পেয়েও বক্সে ভুল ব্যাক পাস দেয় বাংলাদেশ। সেখানে থেকে শট নেন মার্সেইস। মিতুলের খুব সহজে তা ফেরাতে পারা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি পারেননি।