মো: শফিকুল আলম
রাজশাহী থেকে বয়ে আনা ছন্দ এবার মুন্সিগঞ্জেও দেখাল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে রাজশাহীতে পুলিশ এফসিকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল সাইফ। এবার মুন্সিগঞ্জে নিজেদের হোম ভেন্যু বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রাজশাহীর মতো বড় জয় না হলেও প্রচন্ড গরমে স্বস্তির জয় পেয়েছে সাইফ। রহমতগঞ্জকে হারিয়েছে ৪-২ গোলে।
ম্যাচের চার মিনিটে লিড নেয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ফ্রি কিক থেকে দারুণ গোল করেন সাইফের রুয়ান্ডার ফুটবলার এমেরি বাইসেঙ্গে। বা দিকে ঝাপিয়েও বলের নাগাল পান নি রহমতগঞ্জের গোলকিপার জিয়াউর রহমান। আট মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। তিন বিদেশীর রসায়নে সফল হয় সাইফ। এমফোন সানডে থেকে বল পান আসরোর গোফুরোভ। এরপর গোফুরোভের বাড়ানো বলে একদম ফাকা জায়গায় ছিলেন এমেকা ওগবাগ। খুব সহজেই রহমতগঞ্জের জালে বল পাঠান এই নাইজেরিয়ান।
দশ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ হয়ে যেতো। কিন্তু এমেকা ওগবাগের আড়াআড়ি শট চলে যায় সাইডপোস্ট। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সাইফের ডিফেন্সের ভুলে সুযোগ তৈরী হয়েছিল রহমতগঞ্জের। কিন্তু গোলকিপার মিতুল হোসেনের কারণে বিপদ হয়নি সাইফের। ৫৮ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। থান্ডা মাথায় গোল করেন এমফোন সানডে।
৬১ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ভালো শট নিয়েছিলেন রহমতগঞ্জের সানডে চিজোবা। বা দিকে ঝাপিয়ে কর্ণারে রক্ষা করেছেন সাইফের গোলকিপার। তবে ৬৩ মিনিটে এক গোল শোধ করে রহমতগঞ্জ। গোল করেন এনামুল ইসলাম গাজী। এক মিনিট পরই কর্ণার থেকে আসা বলে এমফোনের জোরালে হেডে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রহমতগঞ্জের গোলকিপার।
৭৫ মিনিটে ব্যবধান আরও কমায় রহমতগঞ্জ। আশরাফুল ইসলামের গোলে স্কোরলাইন তখন ৩-২। ৭৮ মিনিটে এমেরি বাইসেঙ্গের ফ্রি কিক কর্ণারে রক্ষা করেন রহমতগঞ্জের গোলকিপার।
তবে এরপরই কর্ণার থেকে আসা বলে হেডে গোল করেন এমেকা ওগবাগ। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এমেকা। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ১৩ ম্যাচ থেকে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সাইফ টেবিলের পঞ্চম স্থানে।