ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপলের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘তির-ধনুকে বাজিমাত’-এর প্রকাশনা উৎসব আজ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার ক্রিস্টাল বলরুমে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রকাশনা উৎসবে বিদেশি অতিথিদের সরব উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
বর্ষীয়ান সাংবাদিক শামীম চৌধুরীর সম্পাদনায় বইটি প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ। বইটি কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদের বর্ণাঢ্য জীবন এবং বাংলাদেশের আরচ্যারী খেলার উত্থান ও প্রসারে তাঁর অসামান্য অবদানের এক বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেছে। ‘তির-ধনুকে বাজিমাত’ শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ নয়, এটি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে, বিশেষ করে আরচ্যারীর ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, লেখক, আরচ্যারী ফেডারেশনের বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং আরচ্যাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশি অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ওয়ার্ল্ড আরচ্যারীর মহাসচিব টম ডিলেন, ইরাক আরচ্যারী ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট আল মাশাহাদানী সাদ, শ্রীলংকার আরচ্যারী অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুনেত্রা সেনভিরাথনে। এছাড়া অন্যপ্রকাশ এর প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদের নিরলস পরিশ্রম, দূরদর্শিতা এবং আরচ্যারী খেলার প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ আরচ্যারী বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বইটির প্রকাশনা আরচ্যারী অঙ্গনে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘তির-ধনুকে বাজিমাত’ এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরচ্যারী ফেডারেশনের সভাপতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান। তিনি বলেন, ‘চপল এত বেশি খ্যাতি সুনাম অর্জন করেছে যা বলে শেষ করা যাবে না। খেলার প্রতি তার আলাদা টান থাকার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। সে শুধু একজন খ্যাতিমান ক্রীড়া ব্যক্তিত্বই নয় একজন সফল ব্যবসায়ীও। বইটির দ্বিতীয় সংস্করণে আশা করব তার ব্যবসায়িক সফলতার কথাও উঠে আসবে। চপল ক্রীড়া জগতে বাংলাদেশের প্রতীক।’
কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল বলেন, ‘আমার সাথে যে ক্রীড়া পরিবার আছে আজ সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আমার প্রত্যাশার বাইরেও আজ অনেক কিছু হয়েছে। আমি আজ ধন্য। এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিদেশি বন্ধুরা অনুরোধ করেছেন। তাই আমার বইয়ের ইংরেজি সংস্করণ বের করার চেষ্টা করব।’
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপলের সাক্ষাৎকার পর্ব সবাইকে মুগ্ধ করেছে। সাক্ষাৎকারে বইয়ের বিভিন্ন মজার ও উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরেন কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল। এছাড়া কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপলের কর্মময় জীবন নিয়ে একটি ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশনও উপস্থাপন করা হয়।