ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফেডারেশন কাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠেছে ঢাকা আবাহনী ও রহমতগঞ্জ। ঢাকা আবাহনী ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। আর রহমতগঞ্জ ৪-৩ গোলে জয় পেয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় শেখ রাসেল কেসি ও রহমতগঞ্জ। ২৮ মিনিটে লিড নেয় রহমতগঞ্জ। সানডে চিজোবার বাড়িয়ে দেয়া বলে ক্ষিপ্র গতিতে বল নিয়ে রাসেলের জালে জড়ান রহমতগঞ্জের ফিলিপ আজাহ। ৩৩ মিনিটে রহমতের লম্বা থ্রো থেকে সুযোগ তৈরী হয়েছিল শেখ রাসেলের। ৩৭ মিনিটে গোলের ভালো একটা চেষ্টা করেছিলেন শেখ রাসেলের অধিনায়ক পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড ক্রুজ দা সিলভা। বল চলে যায় ক্রসবারের পাশ দিয়ে।
৪৩ মিনিটে দুইবার সুযোগ নষ্ট হয় রহমতগঞ্জের। প্রথমবার ফিলিপ আজাহর শট ফেরান শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা। এরপর এনামুল ইসলাম গাজীর শট গোললাইন সেভ করেন সাদ উদ্দীন। শেখ রাসেলের ম্যাচে ফেরার সুযোগ নষ্ট হয় গোলবারে। রহমত মিয়ার ফ্রি কিক গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়। শেখ রাসেল তখন ম্যাচে সমতা আনত না পারলেও ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় রহমতগঞ্জ।
৪৫ মিনিটে ফিলিপ আজাহ নিজের ও দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন। ওয়ালি ফয়সালের লং বলে শেখ রাসেলের সাদ উদ্দীন ও হেমন্তকে বিট করে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোল করেন ফিলিপ আজাহ। ৫১ মিনিটে পেনাল্টি পায় রহমতগঞ্জ। ফিলিপ আজাহকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন আইজার আখমোতোভ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরী হয় আজাহর। কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল করতে পারেন নি তিনি। তার শট ডাক দিকে ঝাপিয়ে প্রতিহত করেন রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা।
৬৩ মিনিটে এক গোল শোধ করে শেখ রাসেল কেসি। ফ্রি কিক থেকে দেখার মতো গোল করেন রাসেলের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার থিয়াগো এডুয়ার্ডো। আর গোল দিয়েই যেন নিজেদের ছন্দ ফিরে পায় শেখ রাসেল। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে পেনাল্টিও আদায় করে নেয় তারা। রহমতগঞ্জ না পারলেও শেখ রাসেল ঠিকই গোল পেয়েছে পেনাল্টি থেকে। ৮১ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন আইজার আখমাতোভ।
এরপরই কমলাপুর স্টেডিয়ামে একের পর এক নাটক। যে শেখ রাসেল দুই গোলে পিছিয়ে ছিল তারাই ৮৪ মিনিটে এইলটন মাশাদোর গোলে প্রথমবারের মতো লিড নেয়। তবে জয় থেকে অল্প সময় দূরে থাকা রাসেলের উল্লাস থামিয়ে দেন সানডে চিজোবা। ৮৯ মিনিটে রহমতগঞ্জের সানডে চিজোবার গোলে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩। আট মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল ম্যাচটাকে নিয়ে যায় অতিরিক্তি ৩০ মিনিটে।
১১৮ মিনিটে বাজিমাত করে রহমতগঞ্জ। আশরাফুল ইসলামের শট শেখ রাসেলের জালে জায়গা করে নেয়। উল্লাসে মাতে রহমতগঞ্জের ফুটবলাররা। আর হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল।