ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারলো বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে আজ ৮ উইকেটে হেরেছে সাকিবরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে মুশফিকুর রহিমের ৬৬ রানে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪২ ওভার ৫ বলে ২ উইকেটে ২৪৮ রান করে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। এ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচ জিতলো কিউইরা।
চেন্নাইয়ে এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় নিউজিল্যান্ড। একটি করে পরিবর্তন এনে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। মাহেদি হাসানের জায়গায় বাংলাদেশ একাদশে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আর উইল ইয়ংয়ের পরিবর্তে দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামেন নিউজিল্যান্ডের উইলিয়ামসন।
ইনিংসের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেন লিটন দাস। কোন রান না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। এই নিয়ে ওয়ানডেতে ১২বার ও পাঁচবার প্রথম বলে শূণ্যতে আউট হলেন লিটন। তিন নম্বরে নেমে আরেক ওপেনার তানজিদ হাসানকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেন নি তানজিদ হাসান। ১৬ রানে আউট হয়েছেন তিনি। এরপর ৫৬ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিরাজ লম্বা ইনিংস খেলার সম্ভাবানা জাগালেও ৩০ রানের বেশি এগুতে পারেন নি। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ৫৬ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ রানে ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৫৬ রান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ৯৬ রান যোগ করেন। সাকিব ৪০ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। দেখেশুনে খেলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। তবে ৭৫ বলে ৬৬ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। ১৩ রান করে তৌহিদ হৃদয় যখন ফিরছিলেন বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৭ উইকেটে ১৮০ রান। এই অবস্থায় রানের চাকা সচল রাখেন আট নম্বরে খেলতে নামা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাসকিনের ১৭, মুস্তাফিজের ৪ ও শরিফুলের ২ রানে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ফার্গুসন ৪৯ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হ্যানরি।
প্রথম দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও বাংলাদেশের বোলাররা আজ সেই সুযোগ দেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের। দেখেশুনে খেলেছে কিউই ব্যাটাররা। যদিও তারা প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ১২ রানে। মুস্তাফিজের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯ রানে ফিরেছেন রাচিন রাবিন্দ্রা। এরপর ৮০ রানের জুটি গড়েন কেন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে। ৪৫ রান করার পর সাকিবের বলে এলবি’র ফাঁদে পড়েন কনওয়ে।
উইলিয়ামসন আরেকটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে। তবে ৭৮ রান করার পর আঙ্গুলে আঘাত পান উইলিয়ামসন। আর ব্যাট করতে পারেন নি। স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক। মাঠ ছাড়ার আগে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি গড়েন। নিউজিল্যান্ডের জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। মিচেল ৬৭ বলে ৮৯ রানে আর ফিলিপস ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৩ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় নিউজিল্যান্ড।