ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রথমবারের মতো সাফের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। নেপালের মাটিতে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছে সাবিনারা। সাফের সেই শিরোপা নিয়ে আজ দেশে আসছে মেয়েরা। দেশে পা রাখার পরই সংবর্ধনা শুরু হয়ে যাবে সাফজয়ী বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ে।
তাঁদের এ সাফল্যে উৎসাহ দিতে দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে নারী দলকে সংবর্ধনা ও উপহার দেওয়ার। ফাইনালে খেলা ১৪ ফুটবলারের মধ্যে ১৩ জনই ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের।
এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ সব ম্যাচেই জয় পেয়েছে। ২৩ গোল দিয়ে হজম করেছে মাত্র একটি। ২ হ্যাটট্রিকসহ টুর্নামেন্টে ৮ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। গোল্ডেন বুট ও টুর্নামেন্ট-সেরা পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বাংলাদেশের রুপনা চাকমা। দেশের ফুটবলে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন সাবিনারা। তাঁদের অভূতপূর্ব সাফল্যে দেশ আনন্দে ভাসছে।
নারী মূল জাতীয় দল গড়তে মূলত সহায়তা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপই। এ ব্যাপারে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘আসলে আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের প্রচেষ্টায় নারী দলের ভিতর সমন্বয় আনতে পেরেছি। চেয়ারম্যান স্যার খেলাধুলা কতটা ভালোবাসেন তা কারোর অজানা নয়। ফুটবল জাগাতে তিনি যে পরিকল্পনা করেন তা মেনেই আমরা কাজ করি। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরও আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।’
ইমরুল হাসান আরও বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা যেমন পুরুষ ফুটবলে বসুন্ধরা কিংস গড়েছি। তেমনি তাঁরই নির্দেশে নারী লিগে নাম লেখাই। তিনি বলতেন মেয়েদের মাঠে রাখতে হবে। হঠাৎ করে দু-একটি ম্যাচ খেলবে তাতে কোনো উন্নয়ন ঘটবে না। তাঁর কথার গুরুত্ব দিয়ে বসুন্ধরা কিংস নারী লিগে অংশ নিচ্ছে। শুধু শিরোপা নয়, আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন।’ ইমরুল হাসান বলেন, ‘বসুন্ধরা কিংসের রোডম্যাপ মেয়েদের কিছুটা হলেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। দেখেন, এবার সাফ জাতীয় দলে ২৩ জনের মধ্যে ১৫ জনই বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়। আর ফাইনালে সেরা একাদশে খেলা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনই ছিলেন কিংসের। এ খেলোয়াড়দের আমরা বড় অর্থের পারিশ্রমিক, উন্নতমানের ট্রেনিং, সুযোগ-সুবিধা সবই দিচ্ছি। অনুপ্রেরণা জোগাতে অর্থ বড় একটা ফ্যাক্টর। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকলে নির্ভার হয়ে খেলা যায়। বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা কিংস এর সবই দিয়েছে এবং দেবে। তাই গর্বের সঙ্গে বলতে পারি বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের পেছনে বসুন্ধরা কিংস ভূমিকা রেখেছে।’
কিংসের সভাপতি বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্যার বিশ্বাস করেন মেয়েরা তাদের সাফল্য অব্যাহত রাখবে। ফুটবলে আরও উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগাতে বসুন্ধরা গ্রুপ নারী সাফজয়ী মেয়েদের বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেবে। আগামী মাসে হবে এ অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত থাকবেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। এর আগে আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলকে সংবর্ধনা দিয়েছি। নারী ফুটবল উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপ কাজ করছে এবং করে যাবে। এখন অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সবার প্রচেষ্টায় যেন আমরা বড় স্বপ্ন দেখতে পারি।’