অনেক নাটক আর বিতর্কের পর বাংলাদেশ-ভারত যৌথ চ্যাম্পিয়ন

মোঃ শফিকুল আলম

চরম নাটকীয়তা, উত্তেজনা, বিতর্ক সব সঙ্গী হয়েছে সাফ অনূর্ধ্ব ১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। ফাইনাল ম্যাচ হলেও চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ নিয়েই সব বিতর্ক। ৯৩ মিনিট পর্যন্ত ভারত যখন এক গোলের লিডে তখন মনেই হচ্ছিল শিরোপা জিততে যাচ্ছে তারা। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য লাইফলাইন হয়ে আসেন সাগরিকা। ৯৪ মিনিটে তার গোলে ১-১ সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।

এরপর ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেই টাইব্রেকার ঘিরেই চরম নাটকীয়তা আর বিতর্ক। দুই দলই এগারটি করে গোল করে। অর্থাৎ দুই দলের ১১ জন ফুটবলারই স্পট কিক থেকে গোল করেন। ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী সাডেন ডেথে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পেনাল্টি শুট আউট চলতেই থাকবে। কিন্তু রেফারি সিদ্ধান্ত নেন টসে চ্যাম্পিয়ন দল নির্ধারণ হবে। এরপর দুই দলের অধিনায়ক নিয়ে টস করেন রেফারি। সেখানে টসে জয়ী হয়ে উল্লাসে মাতে ভারতের ফুটবলাররা।

এরপরই কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশ দলের সদস্যরা। গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মাঠে পানির বোতল ছুড়তে থাকেন তারা। ভারতীয় দল উল্লাস শুরু করেও করতে পারেনি। এরপর জানা যায় শ্রী লঙ্কার ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভার ভুলেই রেফারি টসের সিদ্ধান্ত নেন। পরে আবার পেনাল্টি শুট আউটের সিদ্ধান্ত হলেও ভারত মানে নি। তারা মাঠ ছেড়ে চলে যায়।

এরপর শুরু হয় বৈঠক। দফায় দফায় বৈঠকে কোন কিছুতেই এর সমাধান হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত দুই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে দশটায় শিরোপা মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয় মাঠে। কাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে তার অপেক্ষা। ১০ টা ৪০ মিনিটে মঞ্চে আসেন ফাইনাল ম্যাচের প্রধান অতিথি ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। বাংলাদেশ ও ভারতকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

টস এর মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ হবে এমন কিছুই রেফারি জানাননি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার। আর সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে গিয়ে টসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন ম্যাচ কমিশনারের ভুলের কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.