ক্রীড়া প্রতিবেদক
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। টুর্নামন্টের প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়া আজ ৬-৫ গোলে হারায় পাকিস্তানকে। এরপর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফেভারিট ভারতকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে জাপান। আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টায় শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারত ও পাকিস্তান।
মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জাপানের পারফরম্যান্স অবাক করেছে সবাইকে। যে জাপানকে ভারত ৬-০ গোলে হারিয়েছিল সেই জাপানের কাছে ৫-৩ গোলে হেরে গেছে মানপ্রীত, জারমানপ্রীতরা। এর আগে ভারতের বিপক্ষে জাপানের সর্বশেষ জয় ছিল ২০১৩ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। সে ম্যাচে স্বাগতিক জাপান ২-১ গোলে জিতেছিল। জাপানের সামনে এখন ইতিগহাস গড়ার হাতছানি। কারণ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জাপান কখনও শিরোপা জিততে পারেনি। ২০১৩ সালে নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত তৃতীয় আসরের ফাইনাল খেলেছিল জাপান। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ৩-১ গোলে।
গ্রুপ পর্বের জাপানের সাথে আজকের জাপানকে মোটেও মেলানো যায়নি। গতি ও বল নিয়ন্ত্রণে সলিড শুরু করা জাপান দুটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নেয়। তা প্রতিহত করতে গিয়ে ভারত প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি স্ট্রোক দিতে বাধ্য হয়। প্রথম মিনিটে সুরাজ কেরকেরাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান শোতা ইয়ামাদা। দ্বিতীয় মিনিটে টানা তিনটি পেনাল্টি কর্নার পাওয়া জাপান ব্যবধান দ্বিগুণ করে রাজকি ফুজুশিমার ফ্লিকে। প্রথম কোয়ার্টারে জাপানকে একবারের জন্যও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেনি গ্রুপ পর্বের টপ টিম হিসেবে সেমিফাইনালে আসা ভারত।
তবে ১৭ মিনিটে দিলপ্রিত সিংয়ের ফিল্ড গোলে ব্যবধান কমায় ভারত। গোলের পর বল দখলের দিক থেকে ভারত ম্যাচে ফিরে আসে। ২৯ মিনিটে কেনতা তানাকাকে সার্কেলে ট্যাকল করেন ভারত গোলরক্ষক সুরাজ কেরকেরা। আম্পায়ার পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন। রিভিউর সিদ্ধান্ত জাপানের পক্ষে যায়। স্ট্রোক থেকে স্কোর লাইন ৩-১ করেন ইউশিকি কিরিশিতা।
৩৫ মিনিটে কোশেই কাওয়াবেই ফিল্ড গোল করে স্কোর লাইন ৪-১ করেন। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ভারত সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমণে ঝাঁপায়। ৩৭ ও ৩৮ মিনিটে দুটি কাউন্টার এ্যাটাকে প্রতিপক্ষকে কাপিয়ে দিয়েছিল জাপান। ৪১ মিনিটে তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফল হয় দলটি। রায়োমা ওকার ফিল্ড গোল স্কোর লাইন ৫-১ করে। তবে ৫৩ মিনিটে হারমানপ্রিত সিংয়ের পেনাল্টি কর্নার গোলে ব্যবধান কমায় ভারত। ৫৯ মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি কর্ণার পায় ভারত, হারদিক সিং গোল করে ব্যবধান কমান।