ক্রীড়া প্রতিবেদক
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ উইকেটে ১৬১ রান করেছে পাকিস্তান। আলোর স্বল্পতার কারণে খেলা হয়েছে ৫৭ ওভার। খেলা বাকি ছিল ৩৩ ওভার।
সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট খেলা ইয়াসির আলি, আবু জায়েদ ও সাইফ হাসানের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ হয় সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদের। দেশের ৯৯তম টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয় ডান-হাতি ব্যাটার ২১ বছর বয়সী জয়ের। তবে প্রথম টেস্টের একাদশ নিয়েই খেলতে নামে পাকিস্তান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। সাবধানী শুরু পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিকের। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরানের জুটি গড়েছিলো আবিদ ও শফিক। দুই ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে ১৪৬ ও ১৫১ রান করেছিলেন আবিদ ও শফিক। তাই এই দুই ওপেনারকে নিয়ে সতর্ক ছিল বাংলাদেশ।
তবে দিনের ১৯তম ওভারে টাইগারদের মুখে হাসি ফোটান স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২৫ রান করা শফিককে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল। এরপর ২৫তম ওভারে পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তাইজুল। চট্টগ্রামে দুই ইনিংসে ১৩৩ ও ৯১ রান করা আবিদকেও বোল্ড করেন তিনি। ৮১ বলে ৩৯ রান করে ফিরেন আবিদ। দিনের প্রথম সেশনেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ৩১ ওভারে ২ উইকেটে ৭৮ রান তুলে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় পাকিস্তান।
তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন আজহার আলী ও অধিনায়ক বাবর আজম। দ্বিতীয় সেশনে দাপট দেখিয়েছেন তারা। ৪৯তম টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৯তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। চলতি বাংলাদেশ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থই ছিলেন বাবর। বাবর ও আজহারের অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটিতে ৫৭ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১ রান তুলে চা-বিরতিতে যায় পাকিস্তান। সেসময় আজহার ৩৬ ও বাবর ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চা-বিরতির পর আর মাঠে নামতে পারেনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। আলো স্বল্পতার কারনে দিনের খেলার ৩৩ ওভার বাকী থাকতে শষে হয় প্রথম দনিরে খলো।