ক্রীড়া প্রতিবেদক
জয়ের খুব ভালো সুযোগ তৈরি করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিততে পারল না বাংলাদেশ।টাইগারদের ৫ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো ক্যারিবীয়রা। শুরুতে ক্যারিবীয় শিবিরে তিন ধাক্কা দিলেও মিডলে শেই হোপ ও শেরফান রুদারফোর্ড দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১৪ বল থাকতে জয় তুলে নিয়েছে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে টানা ১১ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেন্ট কিটসে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন মিরাজ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৭ ওভার ৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২৯৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় ধীর সূচনা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন শাই হোপ আর শেরফান রাদারফোর্ড। পঞ্চম উইকেটে ৯৩ বলে ৯৯ রান তুলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তারা। এই জুটিটি অবশেষে ভাঙেন মিরাজ। ৮৮ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় ৮৬ করে ফেরেন হোপ।
কিন্তু দুর্দান্ত ধারাবাহিক রাদারফোর্ডকে আটকানো যায়নি। এই ব্যাটার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ৭৭ বলেই। রাদারফোর্ড শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকারের শিকার যখন হন, জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রিভস ৩১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন।
এর আগে ওপেনার তানজিদ তামিম, চারে নামা অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ওপেনার তানজিদ ৬০ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। মিরাজ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করলেও ১০১ বল খেলেন তিনি। পরে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী দারুণ একটি জুটি গড়েন। মাহমুদউল্লাহ ৪৪ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৫০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। জাকের ৪০ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কার শটে ৪৮ রান করে আউট হন।