ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে ঢাকা আবাহনী ও শেখ জামালের ম্যাচে কোন গোল না হলেও বসুন্ধরা কিংস ও সাইফ স্পোর্টিংয়ের ম্যাচে ছিল গোলের ছড়াছড়ি। সাত গোলের দুর্দান্ত এক ম্যাচে বসুন্ধরা ৪-৩ গোলে হারিয়েছে সাইফকে। ম্যাচের প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধও ছিল দারুণ জমজমাট। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল বসুন্ধরা কিংস। নয় ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকা আবাহনীর চেয়ে ছয় পয়েন্ট এগিয়ে গেল তারা। নয় ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সাইফ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের তিন মিনিটেই লিড নেয় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। গোল করেন রবসন। তবে ১৮ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। আসরোরোভ দারুন একটা বল বাড়িয়ে দেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। ফাহিম গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকোকে কাটান। এরপর বল পেয়ে যান এমফোন সানডে। বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি তিনি।
২৬ মিনিটে নাসিরের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। নাসির নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারায় বল চলে যায় মতিন মিয়ার কাছে। সুযোগ হাতছাড়া করেননি মতিন।
বিরতি থেকে ফিরে দু’বার গোলের সুযোগ নষ্ট করে বসুন্ধরা কিংস। ৪৮মিনিটে মতিন মিয়া দারুন একটা বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিপ্লুকে। সাইফের গোলকিপারকে কাটিয়ে একদম ফাঁকা পোস্ট পেয়ে গিয়েছিলেন বিপ্লু। কিন্তু তার শট গোললাইন সেভ করেন রিয়াদুল হাসান রাফি। ৫০ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন মতিন মিয়া। একদম ফাঁকা পোস্টেও বল জালে জড়াতে পারেন নি তিনি। তবে ৫৫ মিনিটে আর ভুল করেননি মতিন। জামাল ভুইয়ার ভুল পাসে মতিন সুযোগ একদম হাতছাড়া করেন নি।
৫৯ মিনিটে আবারও ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় সাইফ স্পোর্টিং। এমফোন সানডের বাড়ানো বলে একদম ফাঁকা পোস্টে বল জড়ান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৬৮ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে সাইফ স্পোর্টিং। কর্ণার থেকে পাওয়া বলে একদম জায়গামতো থেকে বল জালে জড়ান রিয়াদুল হাসান রাফি। ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩। তবে ৭৭ মিনিটে আবার ম্যাচে গিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। রবসনের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন খালেদ শাফি। এর ফলে ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস।