স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে ঢাকা আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আর্মির জালে গোল উৎসব করে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে গেল ঢাকা আবাহনী। টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনী জয় পেয়েছে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ২-০ গোলে হারিয়ে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশুন্য ড্র থাকার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯১ মিনিটে মারাজ ও ১০১ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম গোল করে সাইফের জয় নিশ্চিত করেন।

কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল  স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে যেতে থাকে ঢাকা আবাহনী। সেনাবাহিনী শুধু একবারই সুযোগ পেয়েছিল। ম্যাচের বাকিটা সময় দেখা গেছে আবাহনীর দাপট। কখনও ডরিয়েলটন, কখনও কলিন্ড্রেস গোলের সুযোগ তৈরী করেছেন। কিন্তু কাজে লাগাতে পারছিলেন না। ৩৭ মিনিটে ওপেন নেট মিস করেছেন আবাহনীর রাকিব হোসেন।

৪৫ মিনিটে ঢাকা আবাহনীকে এগিয়ে নেন এই মৌসুমে আবাহনীতে আসা ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস। দেখার মতো গোল করেন তিনি। কোনাকুনি শটে আর্মির জালে বল জড়ান কলিন্ড্রেস। ঢাকা আবাহনীর জার্সিতে কলিন্ড্রেসের এটা প্রথম গোল।

৫৭ মিনিটে নাবীব নেওয়াজ জীবন যে সুযোগ মিস করেছেন তাতে আফসোস বাড়ে আবাহনীর শিবিরে। ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেসের বাড়ানো বলে একদম গোলমুখে থেকেও বল জাল জড়াতে পারেন নি জীবন। আর্মির গোলকিপারের হাতে বল তুলে দেন। ৬৭ মিনিটে জীবন আর ভুল করেন নি। এবারও বলের যোগানদাত ছিলেন কলিন্ড্রেস। তার ক্রসে জোরালো হেডে বল জালে জড়ান নাবিব নেওয়াজ জীবন। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ঢাকা আবাহনী।

৭০ মিনিটে কলিন্ড্রেস তার ক্লাস দেখিয়েছেন। ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক গোল করেন এই বিদেশী। ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় গোল। ৭৬ মিনিটে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। রাকিব হোসেনের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন ইমন বাবু।

৮১ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় সেনাবাহিনী। রাকিবকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন আর্মির হুমায়ন কবির খান। শেষ পর্যন্ত বড় পরাজয়ই দেখতে হয় সেনাবাহিনীকে। আর দাপুটে জয়ে সেমিফাইনালের আগে দারুণ আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠলো ঢাকা আবাহনী।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.