ক্রীড়া প্রতিবেদক
মার্সিসাইড ডার্বিতে এভারটনের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে লিভারপুল। দিনের আরেক ম্যাচে দুইবার পিছিয়ে পড়েও তলানির দল শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ৪-২ গোলে পরাজিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
জার্গেন ক্লপের দল ১৪ বছরে এই প্রথমবারের মত গুডিসন পার্কে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল। একইসাথে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আর্সেনালকে ধরার পথে বড় বাঁধা পেয়েছে। জারার্ড ব্র্যান্টওয়েটের গোলে ২৭ মিনিটে এগিয়ে যায় এভারটন। একটি ফ্রি-কিক ক্লিায়ার করতে ব্যর্থ হলেও এই ডিফেন্ডার গোলরক্ষক এ্যালিসন বেকারকে পরাস্ত করেন। আরো একবার লিভারপুলের তারকা স্ট্রাইকার মোহাম্মদ সালাহ সমতা আনতে ব্যর্থ হয়েছে। ৫৮ মিনিটে স্ট্রাইকার ডোমিনিক কালভার্ট লুইনের গোলে ব্যবধান দ্বিগুন হবার পাশাপাশি এভারটনের জয় নিশ্চিত হয়।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুল এখনো আর্সেনালের থেকে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। গোল ব্যবধানে আর্সেনালে শিরোপা প্রত্যাশী অপর দুই দল লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটির থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। আর্সেনাল ও লিভারপুল উভয় দলেরই আর মাত্র চার ম্যাচ হাতে রয়েছে। এদিকে তৃতীয় স্থানে থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি তাদের শেষ ছয়টি ম্যাচে জিততে পারলে টানা মৌসুমে লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে।
এদিকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তলানির দল শেফিল্ডের কাছে বড় অঘটন থেকে রক্ষা পেয়েছে ইউনাইটেড। দুইবার পিছিয়ে পড়েও ফার্নান্দেসের দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত হয়। ৩৫ মিনিটে জেয়ডেন বোগলের গোলে শেফিল্ড এগিয়ে গিয়েছিল। বিরতির আগে হ্যারি ম্যাগুয়েরে ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান। বিরতির পরপরই বেন বেরেটন দিয়াজ আবারো সফরকারীদের এগিয়ে দেন। ৬১ মিনিটে স্পট কিক থেকে ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান ফার্নান্দেস। এরপর ম্যাচ শেষে ৯ মিনিট আগে পর্তুগীজ এই তারকা মিডফিল্ডারের দুরপাল্লার জোড়ালে শটে ইউনাইটেড প্রথমবারের মত ম্যাচে এগিয়ে যায়। রাসমাস হোলান্ড ৮৫ মিনিটে আরো এক গোল করলে স্বস্তি ফিরে আসে ইউনাইটেড শিবিরে। গত ৯ মার্চ এভারটনকে হারানোর পর গত পাঁচ ম্যাচে এটাই লিগে ইউনাইটেডের প্রথম জয়।
এই মুহূর্তে ষষ্ঠ স্থানে থাকা ইউনাইটেডের জন্য মৌসুমটা শেষ পর্যন্ত ভাল হতে পারে এফএ কাপের শিরোপা জয় ও ইউরোপা লিগে জায়গা করে নেবার মাধ্যমে। তাহলেই হয়তো সাময়িক ভাবে টেন হাগের চাকরি কিছুটা নিশ্চয়তা পেতে পারে। রোববার দ্বিতীয় টায়ারের ক্লাব কভেন্টির সাথে সেমিফাইনালে তিন গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত টাই-ব্রেকারে কোনমতে জয়ী হয়ে এফএ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইউনাইটেড।