ক্রীড়া প্রতিবেদক
হারতে হারতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। শেষ বলে জয়ের জন্য ৪ রান দরকার ছিল চট্টগ্রামের। ওই বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে জিতিয়েছেন আলিস আল ইসলাম। তুলেছেন বিপিএলের ফাইনালে। ৭ ফেব্রুয়ারি শিরোপা লড়াইয়ে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম। শেষ ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৫ রান। তরুণ পেসার মুশফিক হাসান তা আটকাতে পারেননি। ওভারের চতুর্থ ও শেষ বলে চার খেয়ে হেরে যান ম্যাচ।
বিপিএলের দ্বিতীয় এই কোয়ালিফায়ার ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে খুলনা। শুরুতে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায়। একে একে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার ও অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ (২), তিনে নামা অ্যালেক্স রস (০), ওপেনার নাঈম শেখ (১৯) ও আফিফ হোসেন (৮)।
সেখান থেকে ধস সামাল দিতে সেট হয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হেটমায়ার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। অঙ্কন হাত খুলে খেলার চেষ্টা করতেই আউট হন। চলতি বিপিএলে স্লগে দারুণ ব্যাটিং করা অঙ্কন ৩২ বলে ৪১ রান করেন। তিনটি ছক্কার সঙ্গে একটি চার মারেন ডানহাতি এই ব্যাটার। হেটমায়ার ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন। চারটি ছক্কার সঙ্গে ছয়টি চারের শট মারেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার।
জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রাম ১৬ ও ৩৫ রানে উইকেট হারলেও পাকিস্তানি ওপেনার খাজা নাফি ও হুসেইন তালাত ৭০ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন। তালাত ২৫ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। পরেই ওপেনার নাফি ফিরে যান ৪৬ বলে ৫৭ রান করে। তিনি চারটি চার ও তিন ছক্কা হাঁকান।
শেষে জয়টা এনে দিয়েছেন আরাফাত সানি ও আলিস ইসলাম। আরাফাত ১৩ বলে ১৮ রান করেন। আলিস ৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান যোগ করেন। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে রান নিতে গিয়ে আলিস ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার রিটায়ার্ড হার্টে ক্রিজে এসে শরিফুল শেষ ওভারের চতুর্থ বলে চার মারেন। পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান। আলিস পুনরায় ক্রিজে ফিরে নাটকের সমাপ্তি টানেন।