জোন্স-গাউসের জুটিতে রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কানাডার ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় উইকেটে আন্দ্রিস গাউস ও অধিনায়ক অ্যারন জোন্সের ৫৮ বলে ১৩১ রানের বিধ্বংসী জুটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। আজ থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ৭ উইকেটে হারিয়েছে কানাডাকে। জোন্স ৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ এবং গাউস ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন।

ডালাসে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫০ রান তুলে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নামা কানাডা। ওপেনার অ্যারন জনসন ১৬ বলে ২৩ রান করে ফিরলেও, ৩৬ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার নবনিত ধালিওয়াল। দলীয় ১২৮ রানে যুক্তরাষ্ট্রের পেসার নিউজিল্যান্ডের সাবেক খেলোয়াড় কোরি এন্ডারসনের বলে আউট হন ধালিওয়াল। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৪ বলে ৬১ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে নিকোলস কার্টনের সাথে ৩৭ বলে ৬২ রান করেন ধালিওয়াল।

চার নম্বরে নেমে ২৮ বলে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি করেন কার্টন। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ বলে ৫১ রান তুলে কার্টন ফেরার পর শেষ দিকে শ্রেয়াস মোভার ২টি করে চার-ছক্কায় ১৬ বলে অনবদ্য ৩২ রানের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের আলি খান-হারমিত সিং ও এন্ডারসন ১টি করে উইকেট নেন।

জবাবে ১৯৫ রানের টার্গেটে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওপেনার স্টিভেন টেইলরকে শূণ্যতে হারায় যুক্তরাষ্ট্র। নামের পাশে ১৬ রান নিয়ে সপ্তম ওভারে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। ৪২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় জুটি বাঁধেন গাউস ও জোন্স। শেষ ১২ ওভারে জিততে ১৪৭ রান দরকার পড়ে তাদের।

ইনিংসের নবম ওভার থেকে কানাডার বোলারদের ওপড় ঝড় তুলেন জোন্স। এতে ১২তম ওভারে ১শ পেয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ২২ বলে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় অর্ধশতক পূর্ণ করেন জোন্স। টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে এটি দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি।

১৪তম ওভারে দু’টি নো-বল, তিনটি ওয়াইড, ৩টি ছক্কা ও ২টি চারে ৩৩ রান দেন কানাডার পেসার জেরমি গর্ডন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান দেয়ার ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছয় ছক্কায় ৩৬ রান তুলেছিলেন ভারতের যুবরাজ সিং।

৩৯ বলে তৃতীয় অর্ধশতক করে ১৬তম ওভারে থামেন গাউস। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। জোন্সের সাথে ৫৮ বলে ১৩১ রান যোগ করে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের পথ সহজ করে দেন গাউস। টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।

দলীয় ১৭৩ রানে গাউস ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে এন্ডারসনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন জোন্স। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতলো যুক্তরাষ্ট্র। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড এটি। ৪টি চার ও ১০টি ছক্কায় অপরাজিত ৯৪ রান করেন জোন্স। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কায় যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের সাথে দ্বিতীয়স্থানে আছেন জোন্স। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১১ ছক্কারও মালিক গেইল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জোন্স।

Related articles

Comments

Share article

spot_img

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.