টেবিল টেনিস দলের পাশে রকল্যান্ড স্পোর্টস লিমিটেড

ক্রীড়া প্রতিবেদক

যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমস ও তুরুস্কের কোনিয়ায় ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে অংশ নেবে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল। তারই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত এখন টেবিল টেনিস খেলোয়াড়রা। কিন্তু শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোর জিমনেসিয়ামে সংস্কার কাজ চলায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে ছোট্ট এক জায়গায় অনুশীলন করতে হচ্ছে তাদের। তাই ভালোভাবে ভালো পরিবেশে যেন অনুশীলন করা যায় তার খোঁজে নামে টেবিল টেনিস ফেডারেশন। অবশেষে টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য সুন্দর একটা জায়গা মিলেছে। রাজধানীর গ্রীন বনশ্রীর মোস্তম মাঝি এলাকায় রকল্যান্ড স্পোর্টস লিমিটেডকে বেছে নেয়ার কথা জানিয়েছেন টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনির।

টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের নিয়ে রকল্যান্ড স্পোটর্স লিমিটেডের সব কিছু ঘুরে দেখার পর খোন্দকার হাসান মুনির জানান, ‘আমরা এখন যেখানে অনুশীলন করি সেটা মানসম্মত না। আমাদের লং প্র্যাকটিস করতে হয়। স্পেশাল টেকনিক কোচ নিয়ে যেন অনুশীলন করা যায় আমরা এমন একটা ভেন্যুর খোঁজে ছিলাম। অবশেষে রকল্যান্ড স্পোর্টসকে পেলাম। জাতীয় স্বার্থে তারা এগিয়ে এসেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কমনওয়েলথ গেমস ও ইসলামিক গেমসের রিয়েল ভেন্যু প্র্যাকটিসের যে অভাবটা ছিল তাদের সহায়তায় তা পূরণ করতে যাচ্ছি।’

রকল্যান্ড স্পোর্টস লিমিটেডের সুযোগ সুবিধা দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনির। ‘এখানে না আসলে বিশ্বাস করতে পারতাম না বাংলাদেশের মতো জায়গায় এরকম একটা স্পোর্টস একাডেমি গড়ে উঠতে পারে। তারা সুইমিং পুল করছে, আন্তর্জাতিক মানের জিমনেসিয়াম করছে। এর পাশাপাশি ফুটসালেরও ব্যবস্থা রাখছে, থাকার ব্যবস্থা করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় যা খুবই কম দেখা যায়। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে যা দেখতে পাওয়া যায়।’

রকল্যান্ড স্পোর্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আরিফুজ্জামান সুমন জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই টেবিল টেনিস দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ‘জায়গার অভাবে জাতীয় টেবিল টেনিস দলের অনুশীলনে সমস্যা হচ্ছে। জাতীয় স্বার্থে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি আনন্দিত, গর্বিত। রকল্যান্ড স্পোর্টস লিমিটেডের পক্ষ থেকে তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছি।’

বর্তমানে কয়েকটি খেলার ব্যবস্থা থাকলেও রকল্যান্ড স্পোর্টস লিমিটেড সামনে আরও বড় পরিসরে আসছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আরিফুজ্জামান সুমন। ‘বর্তমানে আমাদের ইনডোরে দশ হাজার স্কয়ার ফিটের জায়গা আছে। এখানে ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও কারাতের প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা আছে। আমাদের সুইমিং পুল হচ্ছে। তারপর দুই হাজার স্কয়ার ফিটের জিমনেশিয়াম হচ্ছে। সুন্দর একটা রুফটপ রেস্টুরেন্ট করছি । এখানে থাকার ব্যবস্থা আছে। অর্থাৎ ঢাকার বাইরে থেকে এসে কেউ যদি এখানে অনুশীলন করতে চায় তার থাকার ব্যবস্থা আছে। আমাদের এখানে এসব কাজ চলমান রয়েছে।’

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.