ক্রীড়া প্রতিবেদক
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরল ভারত। জয় পেতে রীতিমতো রেকর্ড গড়তে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। ২৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটা সময় পর্যন্ত প্রোটিয়া অধিনায়ক লরা উলভার্টের ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ৪২তম ওভারে দীপ্তি শর্মার বলে আমানজোত কৌরের এক অবিশ্বাস্য ক্যাচে উলভার্ট (১০১) ফিরতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস। ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে আরও একবার বড় মঞ্চে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের এই ঐতিহাসিক জয়ের অন্যতম রূপকার স্পিনার দীপ্তি শর্মা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট দুটি উইকেট নেন শেফালি ভার্মা।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে। টস জিতে ভেজা মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারতকে অল্প রানে আটকে রাখার আশায় ফিল্ডিং বেছে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেন দুই ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা মাত্র ১৭.৩ ওভারে ১০৪ রান তুলে ফেলে। ৮টি চারে ৪৫ রান করে মান্ধানা ফিরলেও শেফালি তার তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন।
জেমিমাহ রদ্রিগেজকে (২৪) নিয়ে জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন শেফালি। তবে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছক্কায় ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে শেফালি যখন ফেরেন, দলের রান তখন ১৬৬। মাঝপথে হারমানপ্রিত কৌর (২০) ও আমানজোত কৌর (১২) দ্রুত ফিরলেও, শেষদিকে হাল ধরেন দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ। এই দুজন মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে ৪৭ রান যোগ করে দলকে তিনশোর কাছাকাছি নিয়ে যান।

