ক্রীড়া প্রতিবেদক
স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে নৌবাহিনীকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়া বসুন্ধরা কিংস গ্রুপে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে পুলিশ এফসির সাথে। প্রতিপক্ষ হিসেবে নৌবাহিনী যতোটা সহজ ছিল পুলিশ যেন ঠিক ততোটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বসুন্ধরার সামনে। পেনাল্টি থেকে পাওয়া রবসনের গোলে জয় পায় বসুন্ধরা কিংস। একই সাথে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই বসুন্ধরা এগিয়ে যায়। ১৫ মিনিটে ইসা ফয়সাল জনাথনকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বসুন্ধরা। স্পট কিক থেকে গোল করে বসুন্ধরাকে লিড এনে দেন রবসন। ৩১ মিনিটে জটলা থেকে সুযোগ তৈরী হয়েছিল পুলিশ এফসির। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা। এরপরই মোনায়েম খান রাজুর ফ্রি কিক থেকে পুলিশেল অধিনায়ক ড্যানিলোর হেডে ডান দিক ঝাপিয়ে বল বাইরে পাঠিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো।
৩৫ মিনিটে আমিরুদ্দিন শারীফির বাড়ানো বলে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন পুলিশের জার্মান ফরোয়ার্ড আদিল কুসকুস। জিকো লাফিয়ে সেই বল নিজের গ্রিপে নিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের জন্য বেশ পরিশ্রম করতে দেখা গেছে পুলিশের ফুটবলারদের। অবশ্য ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। ৭৬ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয় পুলিশ এফসির। আদিল কুসকুসের শটে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। ম্যাচে সমতা আনার সুযোগ হাতছাড়া হয় পুলিশের।
ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ফ্রি কিক পায় বসুন্ধরা। মানব দেয়ালে অবস্থান নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয় বসুন্ধরা ও পুলিশের ফুটবলাদের মাঝে। কিছুটা উত্তেজনা তৈরী হয়। রেফারি বসুন্ধরার ইব্রাহিম ও রিমন হোসেনকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন। ১৫ মিনিটে করা গোলই শেষ পর্যন্ত বসুন্ধরাকে স্বাধীনতা কাপে টানা দ্বিতীয় জয় এনে দেয়।