ক্রীড়া প্রতিবেদক
জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন স্প্যানিশ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। আপাতত জাতীয় দলের কোন কার্যক্রম না থাকায় বিভিন্ন ক্লাবের অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করে ধারণা নিচ্ছেন তিনি। তবে মার্চে ব্যস্ততা বাড়তে পারে জাতীয় দলের নতুন কোচের। আগামী মার্চে ফিফা উইন্ডো রয়েছে। এই উইন্ডো কাজে লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন, ‘এখন পর্যন্ত ফাইনাল কোন ফিডব্যাক নেই। পাঁচটি দেশের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে মার্চ উইন্ডোতে খেলা আয়োজনের বিষয়ে। পাঁচটি দেশ হচ্ছে মঙ্গোলিয়া, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা ও কম্বোডিয়া। আমরা আশা করছি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে চূড়ান্ত করতে পারবো মার্চ উইন্ডোতে আমরা কার সাথে খেলছি আর কোথায় খেলছি।’
পাঁচ দেশের যে কোন একটির সঙ্গে বাংলাদেশ খেলতে পারে। এমনকি ত্রিদেশীয় সিরিজও হতে পারে। এ ব্যাপারে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক যে আমাদের আলোচনা হচ্ছে তা দ্বিপাক্ষিক অর্থাৎ হয় আমরা ঐ দেশে যাব অথবা ঐ দেশ বাংলাদেশে আসবে। উইন্ডোতে আমরা সর্বোচ্চ দু’টি ম্যাচ খেলতে পারব। আর ত্রিদেশীয় সিরিজের যদি কোন সম্ভাবনা তৈরী হয়ে যায় তাহলে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাবো। সাম্প্রতিক সময়েও আমরা দেখেছি এমন সুযোগ আমাদের সামনে এসেছিল। এমনটা হলে আমাদের কাছ থেকে পজেটিভ ফিডব্যাকই থাকবে।’
ফুটবলারদের করোনার দুই ডোজ টিকা না থাকা বা কারও ক্ষেত্রে কোন ডোজ না থাকার কারণে ইন্দোনেশিয়া সফরে যেতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় দল। তবে করোনার টিকা নিয়ে এখন বেশ সচেতন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আগামীকাল থেকেই টিকাদান কার্যকম শুরু হচ্ছে। আমাদের নারী দলের প্রায় ৪৮ জন আগামীকাল প্রথম ডোজের টিকা নেবে। পুরুষ ফুটবল দলের অধিকাংশের জন্য আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে একটা ডেট নেয়া হয়েছে। যেসব ফুটবলাররা এক ডোজও টিকা নেয় নি তাদের প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হবে। করোনার টিকা যেন কোন ইস্যু হতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।’