মো: শফিকুল আলম
চরম নাটকীয় এক ম্যাচ। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ই গ্রুপে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ম্যাচ তখন ১-১ গোলে এগিয়ে চলছে। ৯০ মিনিট শেষে ম্যাচে ইনজুরি টাইম দেয়া হলো আট মিনিট। আর সেই অষ্টম মিনিটেই অর্থাৎ ৯৮ মিনিটেই গোল পেল বাংলাদেশ। ২-১ গোলের নাটকীয় এক ম্যাচ জিতলো স্বাগতিকরা। এর ফলে জয় দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করলো বাংলাদেশ। তবে মজার বিষয় হচ্ছে কোন গোল না করেই ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের দুটি গোলই আত্নঘাতি।
দিনের প্রথম ম্যাচে ইয়েমেন ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারায় ভুটানকে। প্রথম ম্যাচে ইয়েমেন গোলের বন্যা বইয়ে দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে গোলের জন্য ছিল দু’দলের আপ্রাণ চেষ্টা। ৩ মিনিটে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের নাজিম। কিন্তু লক্ষ ঠিক রাখতে পারেন নি। তবে ১০ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। নাজিমের ক্রস ক্লিয়ার করতে নিজেদের জালে বল জড়ান সিঙ্গাপুরের ব্রেডেন।
১৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিরাজের শট বাধা হয়ে দাঁড়ায় সিঙ্গাপুরের গোলকিপার। ১৯ মিনিটে সিঙ্গাপুর ম্যাচে সমতা আনতে পারতো। কিন্তু একদম গোলমুখে থেকে হেডে বল ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশের সিরাজুল ইসলাম রানা।
২৭ মিনিটে ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো এক মিনিট পর সিঙ্গাপুর ম্যাচে সমতা আনে দারুণ এক গোলে। ২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডান দিকে আড়াআড়ি শটে গোল করেন সিয়াজুয়ান। ১-১ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। রাতুলের লং শটে সিঙ্গাপুরের গোলকিপার যখন বল রিসিভ করেছিলেন তখন তার পা ছিল গোললাইনের বাইরে। কিন্তু হাতে থাকা বল গোললাইন অতিক্রম করেনি। তাই বাংলাদেশের ফুটবলারদের গোলের আবেদনে সাড়া দেন নি রেফারি।
যখন মনে হচ্ছিল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়বে দু’দল তখনই উল্লাস বাংলাদেশ শিবিরে। রাতুলের লং থ্রো সিঙ্গাপুরের এক ফুটবলারের মাথা ছুঁয়ে বল যখন শুন্যে ভাসছিল তা গ্রিপে নিতে পারেন নি গোলকিপার ইসাক লি। তার গ্লাভস ফসকে বল জালে প্রবেশ করে। ২-১ গোলের জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। গ্রুপে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে আগামী শুক্রবার ভুটানের বিপক্ষে।