সেরা ১০০ খেলোয়াড় বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু কাবাডি ফেডারেশনের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে গত ২০ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী যুব কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। এরই মধ্যে দেশের ৬১ জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘যুব কাবাডি (অনূর্ধ্ব-১৮ বালক ও বালিকা)’ প্রতিযোগিতা। ৮ জোনে বিভক্ত হয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৩৯ উপজেলা। বালক ও বালিকা মিলিয়ে মোট ৫২৯ টি দল অংশ নিয়েছে। বালক বিভাগে অংশগ্রহণ করেছে ৩৩১ দল, নারী বিভাগে দলসংখ্যা ১৯৮। জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পর জোনাল পর্বে খেলা হয়েছে।

এখন জাতীয় পর্বে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার অপেক্ষায় সেরা দলগুলো। পল্টন ময়দানে ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পর্বের খেলা। যুব কাবাডি প্রতিযোগিতার বিস্তারিত জানাতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ভবনে আজ এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ ও তারুন্যের উৎসবে কাবাডির অর্গানাইজিং কমিটির হেড অফ মার্কেটিং ওয়াহিদ মুরাদ।

সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ জানান, ‘যুব কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড় বাছাই করা। হান্টিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৭ হাজার খেলোয়াড় আমরা পেয়েছি। সেখান থেকে চূড়ান্ত ভাবে ৫o জন ছেলে আর ৫০ জন মেয়ে বাছাই করা হবে। এরাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যত। তাদের নার্সিং করতে হবে, বিদেশি কোচের অধীনে ট্রেনিং করানোর পরিকল্পনা আমাদের আছে। খেলোয়াড় বাছাইয়ের জন্য ৮ জনের নির্বাচক প্যানেল আছে। বাছাই কার্যক্রম ঠিকমতো না হলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। এছাড়া ভালো মানের কোচ আমরা আনতে চাই। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা পোল্যান্ড থেকে ফিজিও আনার চেষ্টা করা হচ্ছে’।

বাংলাদেশের কাবাডির হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্তমান কমিটি কাজ করছে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘পদকের জন্য দুইটা জিনিস দরকার। অর্থ আর নিবিড় অনুশীলন। বিভিন্ন গেমসে যে পদক আমরা হারিয়েছি তা পুনরুদ্ধার করতে চাই। এটাই আমাদের নতুন কমিটির প্রধান চ্যালেঞ্জ’।

Related articles

Comments

Share article

Latest articles

Newsletter

Subscribe to stay updated.